মার্কিন কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশি মাসুমা খান

এক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশি নারী মাসুমা খান। ক্যালিফোর্নিয়ার এক ফেডারেল বিচারকের নির্দেশে বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর আটক কেন্দ্র থেকে ৬৪ বছর বয়সী এই নারী পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।

এর মধ্য দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় ২৮ বছর ধরে বসবাসরত মাসুমা খানের পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিচারক মাসুমা খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দেশ থেকে বিতাড়নের ওপরও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন। এর ফলে অভিবাসন সংক্রান্ত মামলা চলাকালে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যাবে না।

মাসুমা গত ৬ অক্টোবর ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিতে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আইসের হাতে আটক হন এবং ক্যালিফোর্নিয়া সিটি কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিতে বন্দি ছিলেন। তিনি হাঁপানি ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মুক্তির বিষয়ে স্টেইটের ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

মাসুমার মেয়ে রিয়া জানান, ১৯৯৭ সালে তার শৈশবকালে দাদির সঙ্গে আমেরিকায় বেড়াতে এসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মা মাসুমা খানও এ দেশে আসেন। পরবর্তী সময়ে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে গিয়ে এক ব্যক্তির প্রতারণার শিকার হন মাসুমা খান। পরে তার বাবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার পর ২০১৫ সালে মায়ের জন্য পিটিশন করেন, কিন্তু ইন্টারভিউর সময় জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসায় মায়ের গ্রিন কার্ডের আবেদন বাতিল হয়।