সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানানোর প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জিয়া উদ্যান এলাকায় মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে তার কবর খননের কাজ।
আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জানাজা শেষে স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাফন প্রক্রিয়া যেন নির্বিঘ্ন ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছেন।
এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে (জিয়া উদ্যান) যেখানে বেগম জিয়াকে সমাহিত করা হবে, সেই স্থানটি ঘুরে দেখেন তিনি।
এর আগে, আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বেগম জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।
উল্লেখ্য, আগামীকাল দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মরদেহ নিয়ে আসা হবে জিয়া উদ্যানে। জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক। দাফন প্রক্রিয়া শেষে দলের পক্ষ থেকে মোনাজাত ও পরবর্তী কর্মসূচির বিস্তারিত জানানো হবে। খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শুধু বিএনপি নয়, পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনেই এখন বিরাজ করছে গভীর স্তব্ধতা।