ঈদুল ফিতরের দিনে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এদিন নারী-শিশু থেকে শুরু করে যুবক ও বৃদ্ধরাও চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেছেন। সকাল থেকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও দুপুর ১২টার পর দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১টায় চিড়িয়াখানায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় সিংহ, বাঘ, পাখি, বানর ও অজগরসহ বিভিন্ন পশু-পাখির খাঁচার সামনে বেশি ভিড় দেখা গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছে সাদিয়া ও তার তিন বছরের ভাই মিরাজ। তারা সিংহ, বাঘ, পাখি, বানর ও অজগরসহ বিভিন্ন পশু-পাখির খাঁচা পরিদর্শন করেছে। পশু-পাখিদের সাথে সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাদের বাবা।
সাদিয়া জানায়, বাবাকে অনেক দিন ধরে বলছিলাম। তাই তিনি ঈদের দিনে আমাদের ঘুরতে এনেছেন। খুব কাছ থেকে পশু-পাখি দেখে আমরা খুব খুশি।
সাদিয়ার মত হাজার হাজার শিশু কিশোর বাবা-মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে। শুধু ছোটরা নয়, চিড়িয়াখানায় এসেছেন নব দম্পতিরাও। তারা চিড়িয়াখানার মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দিও করতে ভুলছেন না।
এবারের যেমন ভিড়, অন্য বছরগুলোতে এমন দর্শনার্থীর ভিড় জমেনি। চিড়িয়াখানার ভেতরে এখন শতশত মানুষ গিজগিজ করছে। যেখানে যাবেন দর্শনার্থী আর দর্শনার্থী। টিকিট চেক করে প্রবেশ করাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তারা। চিড়িয়াখানা প্রবেশের শুরুতেই প্রধান গেটে শতশত মানুষ। তারা লাইন ধরে প্রতিটি কাউন্টারে টিকিট কাটছেন এবং প্রবেশ করছেন। টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।
এদিন চিড়িয়াখানায় এতটাই ভিড় যে অনেকে বাচ্চাকে হারিয়ে ফেলছেন। দুপুর দেড়টার দিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা করেছিলেন, জিসান নামে এক ছোট্ট শিশুকে পাওয়া গেছে। তার বাবার নাম মান্নান ও মা নাজমা। সন্তানটি কারো হয়ে থাকলে আপনারা তথ্য কেন্দ্রে চলে আসুন।