গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পর ৫ ফেব্রুয়ারি রাতভর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বুলডোজার দিয়ে ভবনটির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়। সেই গুঁড়িয়ে দেওয়া বঙ্গবন্ধু ভবনের লাগোয়া একটি নির্মানাধীন ভবনের বেজমেন্টে জমে থাকা পানি সরাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ভবনের বেজমেন্ট থেকে পানি সরানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট।
বেলা দেড়টার দিকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন জানিয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের ডিউটি অফিসার মো. আফনান ইসলাম লিমন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস শুধুমাত্র পানি সরিয়ে দিতে কাজ করছে, এর বেশিকিছু আমাদের জানা নেই।’
নির্মাণাধীন ভবনটি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যেই, অনেকে বলছেন, সেটি আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ভবন।
গত বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি ভাঙা শুরুর পরদিন পাশের ওই নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্টের ছবি আর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে 'আয়নাঘর’ আছে– এমন কথাও চাউর হয়।
এদিকে বুলডোজার কর্মসূচি শুধু ঢাকায় থেমে থাকেনি। বুধবার রাত থেকে জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ পরিবারের নামে থাকা ভাস্কর্য ও ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে। অনেক জেলায় দলীয় কার্যালয়ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।