নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই এলাকাগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, ও সেনা সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বায়তুল মোকাররমে হিযবুত ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অবস্থান।
এর আগে হিযবুত কর্মসূচি পালন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পরে মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ এই সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে হিযবুত তাহরীরকে নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, হিযবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সকল কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া বার্তার পর জুমার নামাজের দুই ঘণ্টা আগেই বায়তুল মোকাররমের ফটকগুলোতে অবস্থান নেন র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এ সময় ব্যাগ হাতে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করা হয়। কারও কারও কাছে পরিচয় ও আরও কিছু তথ্য জানতে চায়েছেন তারা। র্যাব ও পুলিশের সদস্যদের হাতে গ্যাসগান, শটগানসহ দাঙ্গা দমনের সরঞ্জাম দেখা গেছে। আশপাশে পুলিশের সাঁজোয়া যান এবং জলকামানও রাখা হয়েছে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিযবুত তাহরীর, রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা এবং শরিয়া বাস্তবায়ন যাদের মূল লক্ষ্য। দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা সংগঠনটি এখন অনেকটা প্রকাশ্যে তাদের কাজ চালাচ্ছে। শুক্রবার তারা বায়তুল মোকারমে কর্মসূচি ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে; বিভিন্ন জায়গায় লিফলেটও বিলি করেছে।