ঈদ উপলক্ষে ট্রেন যাত্রার পূর্ণ মৌসুম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। অসংখ্য যাত্রী কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। এসব যাত্রীদের অনেকের কাছেই মিলছে জাল টিকিট। চেক করলেই অন্তত দশটি টিকিটের মধ্যে একটি জাল টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দেশের প্রধান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট চেকিং পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দেখা গেছে, একজন যাত্রী একতা ট্রেনে শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশনে যাবেন। এজন্য দোকান থেকে একটি টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তার টিকিটটি ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করা, সেটি তিনি স্টেশনে এসেই বুঝতে পেরেছেন। পরে তাকে জরিমানাসহ ওই গন্তব্যের ভাড়া আদায় করে যেতে দেওয়া হয়। ওই জাল টিকিটে এনআইডি দেওয়া আছে এমডি হুজাইফা যাবির নামে এক ব্যক্তির। টিকিটে প্রারম্ভিক স্টেশনের জায়গায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের বদলে লেখা আছে কমলাপুর। গন্তব্য স্টেশনের জায়গায় লেখা আছে মিস্টার এম মনসুর আলী।
পরিবারের ৪ জন সদস্য নিয়ে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে গাছিহাটা রেলওয়ে স্টেশন যেতে এসেছেন একজন নারী। তার টিকিটে ৪ জন পূর্ণবয়স্কের ভাড়া দেখানো হয়েছে। কিন্তু পস মেশিনে চেক করে দেখা যায়, সেই টিকিটে একজন পূর্ণবয়স্ক ও তিনজন শিশুর ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পরে জরিমানাসহ আরও তিনজন পূর্ণবয়স্কের ভাড়া আদায় করা হয়।
সেখানে উপস্থিত থাকা রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল থেকে এ রকম অসংখ্য জাল টিকিট পাওয়া গেছে। তাদের অনেককে বের করে দেওয়া হয়েছে স্টেশন থেকে আবার অনেককে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করে ট্রেনে যেতে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মানুষজন নিজে অনলাইন থেকে টিকিট না কিনে দোকান থেকে টিকিট কিনছেন। ফলে তারা প্রতারিত হচ্ছেন। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, যার টিকিট সে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করুন। না হলে আপনারা কিন্তু প্রতারিত হবেন। স্টেশন বা ট্রেনে জরিমানার শিকার হবেন।