মুষলধারে বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজধানী

বিকালেই সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এসেছে রাজধানীজুড়ে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বিকালে আকাশ অন্ধকার করে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে প্রায় ঢাকাজুড়েই। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে যানজটে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মস্থল থেকে ফেরত মানুষেরা।

বুধবার (২১ মে) বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। এদিকে সরকারি-বেসরকারি অফিস ছুটির এই সময়ে একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি, অন্যদিকে যানজটের কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা রাজধানীবাসীর। সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত নগরবাসীর স্বাভাবিক কার্যক্রম।

সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা, বনশ্রী, কাওরান বাজার, মিরপুর ১০, আগারগাঁও, ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে চাকরিজীবী, রিকশাচালক, শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করছেন কখন বৃষ্টি থামবে।

কাওরান বাজারের মেট্রোরেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কলেজে ছাত্রী রুবায়া আক্তার বলেন, ক্লা শেষে রিকশা করে বাড়ি ফিরছি, কিন্তু বৃষ্টির কারণে যেতে পারছি না। আবহাওয়ার এমন হঠাৎ হঠাৎ পড়েছি বিপাকে।

আগারগাঁওয়ের কয়েকজন রিকশাচালক জানান, গত কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে ঠিকমতো ভাড়া পাচ্ছি না। মহাজনকে দু-দিন রিকশার ভাড়া দিতে পারেননি। আজও একই অবস্থা। এসময় তাদের চোখে-মুখে হতাশার ছবি দেখা যায়।

এদিকে কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়ার মতো মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে পানি জমে গেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে যানবাহনগুলো। 

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এখনের যে বৃষ্টি তা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নয়। এখনো আমাদের দেশে মৌসুমি বায়ু আসেনি। এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা প্রাক বর্ষা মাসের। এটি স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে বর্ষাকাল শুরু হয় ১০ জুন থেকে ১৫ জুনের মধ্যে। তবে এবার বর্ষার বৃষ্টি একটু আগে থেকেই শুরু হতে পারে এবং ভারী বর্ষণও কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালেও মুষলধারে বৃষ্টি হয় ঢাকায়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বেশকিছু এলাকার মূল সড়কে। কর্মজীবী মানুষজন পড়েন ভোগান্তিতে।