রাজধানীর সড়কে ঈদের আমেজ, ব্যস্ত নগরীতে অচেনা নীরবতা

পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন আজ। ঈদের ছুটিতে সাধারণ দিনের তুলনায় রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ কম। ব্যস্ততম সব সড়কে নেই যানবাহনের চিরচেনা উচ্চশব্দ। নেই যানজট, পথচারীদের তাড়াহুড়ো কিংবা কর্মজীবী মানুষের ছুটে চলা। যান্ত্রিক কোলাহলে ঠাসা নগরী এখন যেন শুধুই নীরবতা পালনে ব্যস্ত।

এমন ফাঁকা ঢাকায় ঈদের প্রশান্তিও নগরবাসীর কাছে অন্যরকম এক অনুভূতি। ফাঁকা রাস্তা কাজে লাগিয়ে নগরবাসী ছুটছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে, যেখানে এখন উৎসবের আমেজ তুঙ্গে।

রাজধানীর প্রায় সব সড়কে নেমে এসেছে এক অচেনা নীরবতা। স্বাভাবিক সময়ে যেসব সড়কে সকালের আলো ফোটার পর থেকেই শুরু হয় তীব্র যানজট, সেসব সড়কে এখন সুনসান রোববার (৮ জুন) সকাল থেকেই মিরপুর, গুলশান, মতিঝিল ও পুরান ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে গাড়ির সংখ্যা কম রয়েছে। 

ট্রাফিক পুলিশের বরাতে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে অনেকেই গ্রামে ফিরে যাওয়ায় শহরের রাস্তায় যানবাহনের চাপ ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণি, আগারগাঁও এবং শ্যামলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকালে সড়কে গাড়ির সংখ্যা ছিল না বললেই চলে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতেগোনা কিছু গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। 

গণপরিবহনের উপস্থিতি কম থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, ব্যাটারিচালিত এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। সীমিত পরিসরে চলা গণপরিবহনে ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে কিছুটা বাড়তি ভাড়া আদায় করতেও দেখা গেছে।

রাস্তায় এই যানজটমুক্ত অবস্থা নগরবাসীকে সুযোগ দিয়েছে বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে যাওয়ার। ঢাকা চিড়িয়াখানার প্রবেশপথে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। শিশুদের উল্লাস আর বাবা-মায়ের ব্যস্ততায় পুরো পরিবেশ প্রাণবন্ত।

ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকার এই রঙিন চিত্র নগরবাসীর আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। যানজটমুক্ত সড়ক তাদের শান্তি দিয়েছে, আর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করে রাজধানীবাসীর উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি ছিল কতটা দৃঢ়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই উৎসবের মেজাজ আগামী কয়েক দিন বজায় থাকবে।