জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে

বাস-ট্রাক চালকদের জীবন রক্ষায় চক্ষু ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সড়কে বাস-ট্রাক চালকদের জীবন রক্ষায় ঢাকা পরিবহন সমম্বয় কতৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী চক্ষু ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।   

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড় ৯টার দিকে পরিবহন সমম্বয় কতৃপক্ষ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত তেজগাঁও বিআরটিসি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা পরিবহন সমম্বয় কর্তৃপক্ষ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের নীলিমা আখতারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, সম্মিলিত পরিষদের প্রধান সমম্বয়কারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিআরটিসিএ চেয়ারমান আবদুল লতিফ মোল্লা, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রাফিক) মো. সরোয়ার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘চালকদের নিয়মিত স্বাস্থ্য ও চোখ পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। তাহলে সড়কে বহু মানুষের মৃত্যু ঠেকানো যাবে। কারণ গাড়ি চালাতে গিয়ে চালকদের শারীরিক, মানসিক ও চোখের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। যার ফলে চালকরা স্বাস্থ্যগতভাবে বিভিন্ন রোগে ভোগেন।’

তারা বলেন, ‘বিআরটিএ ও আহছানিয়া মিশনের মাধ্যমে পরিচালিত গত ২০২৩ সালে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রমে দেখা যায় যে, যানবাহনের প্রায় ৬৩ শতাংশ চালক বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এবং প্রায় ৬৭ শতাংশ চালক চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। চোখের ভারসাম্য হারিয়ে চালকরা ঠিকমত দেখতে পারে না বলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এজন্য মানুষের জীবন রক্ষায় গাড়িচালকদের নিয়মিত স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা করাতে হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যা যা পরীক্ষা করা হবে তা হলো- ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার লেভেল পরীক্ষা, অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা, উচ্চতা ও ওজন পরিমাপ ইত্যাদি এবং চক্ষু পরীক্ষায় যা যা পরীক্ষা করা হবে তা হলো- চোখের প্রেসার পরিমাপ, কালার ভিশন পরীক্ষা, গ্লুকোমা/রেটিনা পরীক্ষা, পাওয়ার পরিমাপ/নির্ধারণ, নাইট ভিশন পরীক্ষ, স্লিট ল্যাম্প পরীক্ষা ইত্যাদি।

উল্লেখ, তিন দিনব্যাপী কর্মসূচিতে এক হাজার বাস-ট্রাক চালকের চক্ষু ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমম্বয় কতৃপক্ষ।