আফতাবনগর-বনশ্রী সংযোগ সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন আজ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে আফতাবনগর ও বনশ্রী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সরাসরি যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে যাচ্ছে। এই দুই এলাকার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে রামপুরা খালের (প্রবাহমান নড়াই নদী) ওপর তিনটি সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হচ্ছে আজ।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় আফতাবনগরের লেকভিউ রোড এলাকায় সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, বাঁশের সাঁকোর জায়গায় আধুনিক সেতু নির্মাণ করা হবে। দুটি সেতু গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও সাধারণ যান চলাচলের উপযোগী। একটি সেতু শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ চলাচলের জন্য।

এই সেতুগুলোর নামকরণ করা হয়েছে ‘নড়াই সেতু’, ঐতিহাসিকভাবে যেটি আজকের রামপুরা খাল হলেও আশির দশকে ছিল প্রবাহমান নড়াই নদী।

ডিএনসিসির মুখপাত্র জোবায়ের হোসেন বলেন, এই সেতুগুলোর মাধ্যমে আফতাবনগর ও বনশ্রীর মধ্যে যাতায়াত অনেক সহজ ও সরাসরি হবে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

অনেকেই যেটিকে ‘বনশ্রী খাল’ নামে চেনেন, সেটি প্রকৃতপক্ষে নড়াই নদী। আশির দশকে এটি ছিল প্রবাহমান নদী। অবৈধ দখল ও দুষণের ফলে এটি এখন প্রায় বন্ধ খাল। পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে একে আবার ‘নড়াই নদী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, আমরা এই নদীটিকে বাঁচাতে পারলে রামপুরা থেকে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী হয়ে সদরঘাট ও মিরপুর পর্যন্ত নৌপথে যাত্রী পরিবহন চালু করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

গত ১৯ জুলাই ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সরেজমিন পরিদর্শনে যান। সেসময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, দ্রুত এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হবে। এখন সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে।

আফতাবনগর ও বনশ্রীর বহু বাসিন্দা ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে সেতু উদ্বোধনের খবরে সন্তোষ ও আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলছেন, এটি হলে জরুরি সেবা, স্কুল-কলেজ ও অফিসগামীদের যাতায়াতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।