কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম, বাড়ছে শীতজনিত রোগ

ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি শিশু ও বৃদ্ধরা।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা।

যাত্রপুর ইউনিয়নের আমেনা বেগম (৪০) নামে এক নারী বলেন, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে কয়েক দিন থাকি বাচ্চার জ্বর-সর্দি হয়েছে, তাই হাসপাতালে নিয়ে আসছি ডাক্তার দেখাতে।

চিলমারী উপজেলার মফিজুল হক (৫০) বলেন, ‘শীত মৌসুম আসলে হামর নদীর পারের মানুষের খুব কষ্ট হয়। ঘর থাকি বাইরে বের হওয়া যায় না, কাজ কামাই করবের পাইনে। হাত-পাও খালি শিষ্ঠি লাগি আইসে।’

kurigram

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ঠান্ডার কারণে সর্দি-কাশি, ফ্লু (ইনফ্লুয়েঞ্জা), ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা বা হাঁপানি, এবং হুপিং কাশি হতে পারে। সব সময় গরম কাপড় পরিধান করা। ঘর থেকে বের না হওয়া। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এই রোগে আক্রান্ত বেশি হয়।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, রোববার (৭ ডিসেম্বর) জেলায় সবনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা পড়ার সঙ্গে দিন দিন তাপমাত্রা কমে শীতের তিব্রতা আরও বাড়বে এই জেলায়।