নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি সোনার দোকান লুট করেছে ডাকাত দল। এ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে সোনা, রুপা, নগদ টাকা ও দেশীয় তৈরি পাইপগান উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- লক্ষীপুরের কমলনগর থানার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের মৃত শহীদুল্লার ছেলে মো. নোমান (৩৫), একই থানার চর মার্টিন ইউনিয়নের পশ্চিম চর মার্টিন গ্রামের মো. মোরশেদ আলমের ছেলে মো. সুজন হোসেন (২৭), হাজীরহাট ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির সুভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃঞ্চ কমল সরকার (৩২), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নের জগজীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন (৩২), একই উপজেলার বজরা ইউনিয়নের মুসলিম গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন ওরফে জিতু (৩০), বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার মৃত অলি উল্যার ছেলে সালাউদ্দিন (৩২), কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জৈনদপুর গ্রামের মৃত মো.শহীদুল্লার ছেলে মো.মিজানুর রহমান ওরফে রনি (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত শুক্রবার ডাকাত দল রাত ৩টার পর চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে প্রবেশ করে নৈশপ্রহরী শহীদুল্লাহকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর নৈশপ্রহরীর মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে লুট করা ৬০ ভরি সোনা, ১৬০ ভরি রুপা এবং সোনা বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ভোর রাতের দিকে কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারের মা-মনি জুয়েলার্স ও নুর জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে লুট হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। তবে পুলিশের ভাষ্য দুটি দোকান থেকে সর্বমোট ৭২ ভরি সোনা লুট করে ডাকাত দল।