কর্মী থেকে হলেন সংসদ সদস্য

মাত্র এক মাসের ব্যবধানে কর্মী থেকে সংসদ সদস্য হয়ে গেলেন আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসনে মাকে নির্বাচনী সহযোগিতা করতে ঢাকা থেকে মায়ের বাড়িতে আসেন তার মেয়ে প্রকৌশলী আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার। তিনি নির্বাচনী কৌশলে ডামি প্রার্থী হিসেবে মায়ের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতার কারণে দলীয় সিদ্ধান্তে নৌকার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন মা আফরুজা বারী। কিন্তু মা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও মেয়ে নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আসনটিতে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দুই বারের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে পরাজিত করে জয়ী হন তিনি।

লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারী পান ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট। তার থেকে ২২ হাজার ৫৫৮ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন নাহিদ নিগার। এ বিষয়ে প্রকৌশলী নাহিদ নিগার বলেন, আমি সুন্দরগঞ্জের মানুষের কাছে চিরঋণী। আমি এলাম মায়ের ভোটের কর্মী হতে। এখন পরিবেশই আমায় সংসদ সদস্য বানালো।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার ঢাকার ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। যুক্তরাজ্যে কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক এবং অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দ গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মা আফরুজা বারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গাইবান্ধা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রতীক পাবার পর তিনি এক মাস আগে মাকে নির্বাচনী কাজে সহযোগিতার জন্য নানার বাড়ি সুন্দরগঞ্জে এসেছিলেন। গাইবান্ধা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ১০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বিএনএফ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিসহ দলীয় প্রার্থী ৬ জন। বাকি চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে আটজন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।