হাতিয়ায় টমেটো চাষে সফলতার শীর্ষে কৃষক ফেন্সি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় টমেটো চাষ করে কাঙ্খিত ফল পেয়েছেন কৃষক ফেন্সি আক্তার। উপজেলার তমরোদ্দি ইউনিয়নের বেকের বাজারের পাশে ৫০ শতক জমিতে টমেটোসহ উচ্চমূল্যের বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন তিনি। 

চলতি মৌসুমে ৮০ হাজার টাকার শুধু টমেটো বিক্রি করেছেন তিনি। আরও দেড় লাখ টাকা বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে তার। কৃষক ফেন্সি আক্তার ওই ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী। 

IMG20240116125547

স্বামী-সংসার আর গৃহস্থলীর কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন স্বামী আবুল কালাম আজাদ। আর্থিক সচ্ছলতার প্রত্যয়ে প্রথমে নিজের ১৬ শতক জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। স্বামী-স্ত্রীর একাগ্রতার ফলে চাষাবাদের পরিধিও বিস্তার হয় তাদের। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া কৃষির ধরণ বৃদ্ধি করে তিনি ফলাতে থাকেন টমেটো, মরিচসহ উচ্চমূল্যের সবজি। এতে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে ১৬ শতক জমির সাথে যুক্ত হয় তাদের আরও ৩৪ শতক। 

IMG20240116134428_01

এদিকে ২০২৩ সালে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় উচ্চমূল্যের সবজি (টমেটো) চাষ করলে ফলন আসে কাঙ্খিত মাত্রায়। টমেটো বাগানের পুরো জমি যাতে সব সময় কাজে লাগে সেজন্য সর্জন পদ্ধতিতে মিশ্র সবজি- লাউ, করলা উৎপাদনে মনোনিবেশ করেন ফেন্সি আক্তার। সাথে রয়েছে শিম, মুলা এবং মাছ চাষও। বেড পদ্ধতিতে চলছে মরিচ আর মালচিন পদ্ধতিতে চলছে টমেটো চাষ। তার এ কাজে সহযোগিতায় রয়েছেন স্বামী আবুল কালাম আজাদ। 

মৌসুমের শুরুতে টমেটো মন প্রতি ৩৫০০ টাকা থাকলেও এখন চলে পাইকারি ১৬০০ টাকা করে। ফলন ভাল এবং দাম দ্বিগুণ হওয়ায় বেশ খুশি এই কৃষক দম্পতি।  

IMG20240116140612

ফেন্সি আক্তার ও তার স্বামী আবুল কালাম আজাদ খবর সংযোগকে জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের অনুপ্রেরণা এবং উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তারা এ বছরের শুরুতে টমেটোসহ শীতকালীন অন্যান্য সবজি বিক্রি করেছেন প্রায় ২ লাখ টাকার। আরো ৩ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা রেখেছেন এই কৃষক দম্পতি। যেখানে পুঁজি খাটিয়েছেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা। 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, উচ্চমূল্যের এই সবজি আগাম লাগানোর ফলে কৃষক ফেন্সি আক্তার ভালো দাম পেয়েছেন। তার দেখায় আশপাশের অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।