নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায়ে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে মো. রুহুল আমিন, মৃত আব্দুল হাশেমের ছেলে মো. হাসান আলী বুলু, মৃত ইসমাঈলের ছেলে মো. সোহেল, মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে স্বপন, আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম খলিল, মৃত ছিডু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন, ফকির আহাম্মদের ছেলে মো. সালাউদ্দিন, মো. মোতাহের হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন, মো. রফিকের ছেলে মো. মুরাদ, মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জামাল।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা নোয়াখালী জেলা কারাগারে আছে। এ ঘটনার পর থেকে আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) নামে একজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্থানীয় রুহুল আমিনের নেতৃত্বে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চে অভিযোগপত্র দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন।