চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকায় এক কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানায় ধর্ষক শিক্ষক হামিদ মোস্তফা জিসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। পুলিশ ইতোমধ্যে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। জিসান মহেশখালীর পশ্চিম পাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি ইসলামী ছাত্রসেনা নামে একটি ছাত্র সংগঠনের ইউনিয়ন সভাপতি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চাঁন্দগাও এলাকায় ‘শিক্ষাশালা কোচিং সেন্টার’-এ পড়তেন এনএমসি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী। এক সময় কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জিসানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারের ভেতরে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জিসান। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সাথে কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে অভিযুক্ত জিসান। পরে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জানান তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরদিন তাকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর প্রায় ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পংকজ দত্ত জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যে মামলা নিয়েছি এবং একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত এখনও কোনো কিছু স্বীকার করেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আমরা নিশ্চিত হবো।’