‘সুন্দরবন আমাদের গর্ব, তা রক্ষা করতে হবে’

সুন্দরবন নিয়ে আমাদের গর্ব, তা রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব নদী ও খাল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে, সেগুলোর দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৯টায় উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘সুন্দরবন সংরক্ষণে করনীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এর আয়োজন করে।

বক্তারা বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট হিসেবে খ্যাত এই বনে রয়েছে ঈর্ষণীয় জীববৈচিত্র্য। তাই সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের ঐতিহ্যের ও গর্বের এই সুন্দরবনকে আমরাই প্রতিনিয়ত হত্যা করছি।

তারা বলেন, একদিকে জলবায়ু সংকটে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অন্যদিকে সুন্দরবনে মিষ্টি পানির প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে। ফলে সুন্দরবনের পরিবেশগত পরিবর্তন লক্ষণীয়। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট নানা হুমকির মুখে রয়েছে সুন্দরবনসহ দেশের সব বনাঞ্চল। তাই সরকারকে এ বিষয়ে আরও আন্তরিক হতে হবে।

বক্তারা বলেন, অবাধে বনের গাছ চুরি ও নির্বিচারে বনের পরিবেশ দূষণ করা হয়। বর্জ্যের মধ্যে বিপুল পরিমাণ পলিথিন ও প্লাস্টিকসামগ্রী থাকছে। জোয়ার-ভাটার পানিতে এসব বর্জ্য ভেসে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন শাখা খাল, নদ ও সুন্দরবনে। এই বর্জ্য ফেলা রোধে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।

পশুর রিভার ওয়াটারকিপার্স পরিবেশকর্মী মো. নূর আলম শেখের সঞ্চালনায় ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্য সচিব ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশর সমন্বয়কারী শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুর রহমান, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপারের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল করিম কিম, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, জিউধরা স্টেশন কর্মকর্তা মো. আ. হান্নান।