পদ্মা সেতুর কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষদের কোন চাপ ছিলো না। গত কয়েকদিনেও এখানে মানুষদের কোন চাপ দেখা যায়নি। সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে ও ফেরিতে পার হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছেন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সক্ষমতার থেকে বেশি যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ভিড়ছে ফেরি। এ ছাড়া প্রতিটি ফেরিতে মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের সংখ্যা রয়েছে চোখে পড়ার মতো। যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ থেকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন যানবাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে।
ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশসহ পরিবহন মালিকদের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকরা যাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি বলতে গেলে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আমাদের সক্ষমতা অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী নেই।
ঈদের আগে দৌলতদিয়াতে যাত্রীর চাপ আও বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভাবনা কম। কারণ বেশিরভাগ যানবাহন ও যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ পিপিএম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীরা এবার স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে বাড়িতে যেতে পারবে।