জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিক পরিবারের ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। পরিবারগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বড় এক শূন্যতার। আপনজনদের ফিরে পেতে আক্ষেপ করছেন স্বজনেরা।
ছোট ছেলে আইনুল। ৫ হাজার নটিক্যাল মাইলের বেশি দূরে সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। যার জন্য প্রহর গুনছেন মা লুৎফে আরা বেগম।
২০১৬ সাল থেকে নাবিক জীবনে সবসময় পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দে মেতে উঠতে পারেননি আইনুল। তা মেনেও নিয়েছেন স্বজনরা। কিন্তু এবারের রূঢ় বাস্তবতাকে কোনোভাবেই মানতে পারছেন না মা। বড় ছেলে বন্দীদশায় থাকায় নিজেকে মুক্ত ভাবতে পারছেন না লুৎফে আরা। তাই কেনা হয়নি নতুন পোশাক। নেই ঈদের কোনো প্রস্তুতিও।
এমভি আব্দুল্লাহর আইনুল হক অভির মা লুৎফে আরা বেগম জানান, ওরা স্বাভাবিকভাবে বাইরে থাকে সেটা আমরা মেনে নেই। ওরা এখন জলদস্যদের কাছে বন্দী আছে। এখন আমাদের অনুভূতি আগের সঙ্গে এটার কোনো মিল নেই। আমাদের ছেলেরা এখন বন্দী।
একই হাহাকার এমভি আব্দুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভিরের ঘরেও। মা জোছনা বেগমের আশা ছিল ঈদের আগেই ঘরে ফিরবে বুকের ধন। তা আর না হওয়ায় আনন্দ যেন ফিকে।
এমভি আব্দুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভির আহমেদের মা জোছনা বেগম জানান, আমার মনে হয় আমার এই জীবনে প্রথম এই পরিস্থিতিতে ঈদ করব। আমার নিজের জন্য না হয় অন্য কারো জন্য হলেও ১৫ থেকে ২০ বার মার্কেটে যাই। এবার একবারও যাইনি।