ফরিদপুরের সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান এ তথ্য জানান।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্কাস মাতুব্বর ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসেম খানের নেতৃত্ব এ সংঘর্ষ হয়।
এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা,ভাঙচুরের ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আহত আটজনের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এলাকাাসী জানায়, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এলাকার একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে হাসেম খানের সমর্থকরা কয়েকশ লোক নিয়ে আক্কাস মাতুব্বরের বাড়িসহ তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। তার ১০ লক্ষাধিক টাকার গরু-ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে আক্কাসের সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে হাসেমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস মাতুব্বর বলেন, ‘রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশের মধ্যস্থতায় আমরা সংঘর্ষে লিপ্ত হব না বলে কথা দিয়েছিলাম । আমি তা মেনে নিলেও হাসেম খান তা মানেন নাই। তার সমর্থকরা সোমবার সকালে অতর্কিত আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও দশ লাখ টাকার গরু ছাগল লুটপাট করে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা হাসেম খান বলেন, ‘আক্কাসের সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করেছে।’
ওসি আসাদউজ্জামান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’