কমলগঞ্জে টিলা কেটে মাটি বিক্রি, ঝুঁকিতে ১০ বসতঘর

পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বরচেগ গ্রামে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে সেখানে বসতঘর ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

জানা গেছে, বরচেগ গ্রামে প্রায় প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে চলছে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির কাজ। রাত হলেই চলে পাহাড় কাটার ধুম। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও পাহাড়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা ওয়াতির মিয়া টিলার কিছু অংশের (আনুমানিক ৫ শতক) কেটে ফেলা হয়েছে। এতে টিলার ওপর ও নিচের অংশের ১০টি বসতঘর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাহাড় বা টিলা ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও তা কাটতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করে ওয়াতির মিয়া তার টিলা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন।

ছবি: খবর সংযোগ নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ওয়াতির মিয়া দুই সপ্তাহ ধরে শ্রমিক নিয়োগ করে টিলা থেকে মাটি কাটছেন। প্রতিদিন ২-৩টি ট্রাকে টিলার মাটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে। 

স্থানীয় লেবু মিয়া ও তার স্ত্রী রাবিয়া বেগম জানান, টিলা কাটার ফলে তাদের ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ধসে পড়ার আতঙ্কে রাতে তারা অন্য বাড়িতে গিয়ে থাকেন।

অভিযুক্ত ওয়াতির মিয়া বলেন, নিচে ঘর নির্মাণের জন্য তিনি টিলার সামান্য অংশ কেটেছেন। তবে এখন আর টিলা কাটা হচ্ছে না। 

তবে  অভিযোগ স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি না বুঝে টিলা কেটেছি আর কাটবো না। যেটুকু অংশ কেটেছি তা ভরাট করে দেব। 

ছবি: খবর সংযোগ

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওয়াতির মিয়ার যে টিলাগুলো থেকে মাটি কেটেছেন এবং নতুন ঘর নির্মাণ করবেন। সেগুলো সরকারি জায়গা। যেভাবে তিনি মাটি কেটেছেন তা ঠিক হয়নি। যেকোনো সময় মাটি ধসে আশেপাশে থাকা মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। 

প্রশাসন যেন দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেন সেই দাবি জানিয়েছেন তারা।  

কমলগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডি এম সাদিক আল শাফিন জানান, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, ‘টিলা কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’