মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে কক্সবাজারের দুই উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার একর বনভূমি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এসব এলাকায় অবশিষ্ট বনভূমিও পাহাড় খেকোদের থাবায় হুমকির মুখে, ভূমিধ্বসসহ তৈরি হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি।
আসছে বর্ষাকে সামনে রেখে সম্ভাব্য ঝুঁকি যখন উঁকি দিচ্ছে তখন পাহাড় নিধন বন্ধে দেখা গেছে বনবিভাগের তৎপরতা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ পরিচালিত এক অভিযানে সম্প্রতি পাহাড় নিধনে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার জব্দ করা হয়। বনবিভাগ বলছে, গত শুক্রবার (২৩ মে) ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জব্দ ডাম্পারটি পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের পির থাইংখালী ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুর শরীফের ছেলে মোহাম্মদ নুরুল আমিনের মালিকানাধীন।
পলাতক নুরুল আমিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি অবস্থিত উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের থাইংখালী বিটে, যেখানে রয়েছে হাজার একরের বনভূমি।
গত ২৪ এপ্রিল এই বিটভুক্ত ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধভাবে নির্মিত আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বনবিভাগ। নিয়মিত অভিযান ছাড়াও সুফল প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা ২২০ হেক্টর বনভূমির প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষাধিক গাছের ‘বৃহত্তর’ বাগান পরিচর্যায় কাজ করছে থাইংখালী বিট। এই বিটের বিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) বিকাশ দাশ।
বিকাশ দাশ বলেন, জনবল সংকট, পাহাড়খেকোদের হুমকির মতো অসংখ্য চ্যালেঞ্জ স্বত্ত্বেও বনভূমি রক্ষার্থে অর্পিত দায়িত্ব আমরা নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চেষ্টা করছি।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের যেনো ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে বন ও পরিবেশের স্বার্থে বনবিভাগকে সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করেন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম।
উখিয়ায় যোগদানের পর থেকে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত তৎপরতা দেখানো এই কর্মকর্তা বলেন, পাহাড় ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বনবিভাগের আভিযানিক কার্যক্রম সব সময় অব্যাহত থাকবে।