কুষ্টিয়ায় যেভাবে বাসা ভাড়া করে থাকতেন সুব্রত বাইন

কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর সোনার বাংলা সড়ক এলাকায় গেল দেড় মাস ধরে তিনতলা এক ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, দিনের আলোয় কখনো তাদের মুখ দেখা যায়নি। তবে মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাতে হঠাৎ এই বাড়িতেই সেনাবাহিনীর অভিযান দেখে অবাক হন তারা। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ। এ খবরে শহরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কালিশংকরপুর এলাকার আশ-পাশজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় হেলালের মাধ্যমে মৃত মীর মহিউদ্দিনের তিন তলা বাড়ির নিচ তালা ছয় হাজার ভাড়া নেন তারা। তবে তাদের কখনো বাড়ির বাইরে আসতে দেখেননি তারা। মাঝে মধ্যে জানালা খুলতে দেখা যেত তবে কয়েক মিনিটেই আবার বন্ধ করে দিত। রাতে একটি গাড়ি এসে তাদের রেখে যেত।

এই বাসা থেকেই আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: খবর সংযোগ

ওই ভবনের ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা খবর সংযোগকে জানায় , আমরা প্রতিদিনের মতোই রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। আজ ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ বাড়িটির নিচতলায় দরজা ভাঙার শব্দ শুনে বাইরে আসি। তখন বাড়ির সামনে সেনাবাহিনীর ৫ থেকে ৬টি গাড়ি দেখতে পাই। গাড়ি বহরে একটি কালো মাইক্রোবাসও ছিল। ২০ থেকে ৩০ জন সেনাসদস্য বাড়ির ভেতরে আসে। পরে তারা দোতলা ও তিনতলায় ওঠেন। এরপর বাসাটির সকল বাসিন্দাকে দ্বিতীয় তলার একটি ও তৃতীয় তলার একটি কক্ষে রাখেন। 

এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন,তারা দেড় মাস আগে পরিচয় গোপন করে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। 

উল্লেখ, সুব্রত বাইন দেশের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় কমপক্ষে ৩০টি খুনের মামলা রয়েছে। ২০০৩ সাল পর্যন্ত সুব্রত বাইন ছিল ঢাকার অপরাধ জগতের প্রভাবশালী চক্র সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান। ১৯৯১ সালে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে হত্যার মধ্য দিয়ে নামকরা সন্ত্রাসী হিসেবে সুব্রত বাইনের অভিষেক হয়।