ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা আর প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। মহাসড়কের প্রায় পুরোটা জুড়েই ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে দেখা যায় পথচারীদের। মহাসড়কের প্রতিটি বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ফুটওভারব্রিজ থাকলেও সেটি ব্যবহারে অনেকের অনীহা দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে ফেনীর মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত একশ পাঁচ কিলোমিটার অংশে প্রায় ত্রিশটি স্থানে ফুটওভারব্রিজ রয়েছে। প্রতিটি ফুটওভারব্রিজের নিচে লোহার বেড়া দিলেও তা টপকে রাস্তা পার হতে দেখা যায় সাধারণ পথচারীদের। দাউদকান্দি, ইলিয়টগঞ্জ, মাধাইয়া, চান্দিনা, নিমসার, ক্যান্টনমেন্ট, কোটবাড়ি, পদুয়ার বাজার, সুয়াগাজী, মিয়ানমারসহ সবগুলো বাজারে ফুটওভারব্রিজ দেওয়া আছে। এসব স্থানেও পথচারীরা পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হয়।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মহাসড়কের দুর্ঘটনায় নিহতের বেশিরভাগ পথচারী। ফোর লেনের এ মহাসড়কে যেকোনো স্থান দিয়ে পায়ে হেঁটে পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকি জেনেও তা মানছেন না পথচারীরা।
ঢাকা-কুমিল্লার পথে চলাচলকারী এশিয়া লাইন পরিবহনের চালক আবদুল খালেক জানান, পথচারীদের জন্য সড়কে স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চালাতে কিছুটা সমস্যা হয়। তাছাড়া হঠাৎ রাস্তা পার হওয়া মানুষগুলোকে ঠিক মতো দেখাও যায় না।
মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা চান্দিনা মাধাইয়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কলেজের শিক্ষক ওমর ফারুক জানান, তার কলেজের সামনেও গেল কয়েক বছরে রাস্তা পার হতে গিয়ে কয়েকজন পথচারী মারা গেছেন। তিনি জানান, পথচারীরা নিজে সচেতন নাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব না। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো কঠোর হতে হবে।
এদিকে মহাসড়কের দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, কোন ভাবেই পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার রোধ করা সম্ভব না, যদি পথচারী সচেতন না-হয়। দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন চালকের গতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য জরিমানা করা হয়। কেননা যানবাহনের গতি বেশি হলে পথচারী দুর্ঘটনার কবলে পরে বেশি। এতে মারাত্মক আহত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুও ঘটে।
নিরাপদ চালক চাই সংগঠনের সভাপতি আজাদ সরকার জানান, আমরা নিরাপদ চালকের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি পাশাপাশি যাত্রীদের সচেতন করছি। পথচারীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরা নিবেন এমনটা বুঝিয়ে আসছি সব সময়। এ নিয়ে সরকারের সচেতনতামুলক প্রচারণা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।