আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বরিশালে চরমোনাই দরবার শরিফের তিন দিনের বার্ষিক মাহফিল শেষ হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৮টায় চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বয়ানে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘নিজেকে সব সময় ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুর পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থেকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীনের শিক্ষা দিতে হবে এবং দ্বীন পালনের প্রতি যত্নবান হতে হবে।’
এদিকে, কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরমোনাই দরবারে এ তিন দিনের মাহফিলে বার্ধক্যজনিত ও হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ১০ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের মো. আলাল খালাশি (৭২), পাবনার আবদুল জলিল খান (৬৫), গাজীপুরের মো. জাহাঙ্গীর ব্যাপারী (৫০), চুয়াডাঙ্গার মো. ওসমান (৫০), নীলফামারীর মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (৬০), চাঁদপুরের আলী আহম্মদ (৫৫), মো. আইউব আলী (৬০), বগুড়ার মো. আবদুল হামিদ (৬৫), নারায়ণগঞ্জের মো. আলতাফ হোসেন (৬৫), নরসিংদীর মো. আবুল কালাম (৪২)।
আয়োজকেরা জানান, মৃত ব্যক্তিদের জানাজা শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, এবারের মাহফিলে মূল সাতটি বয়ানের পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সৌদি আরব, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও তুরস্কের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন।
আখেরি বয়ান ও মোনাজাতের পর সকাল ১০টা থেকে মুসল্লিরা বাস, লঞ্চসহ বিভিন্ন বাহনে গন্তব্যে রওনা দেন। এতে বরিশাল নগরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।