বরিশালে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, বিভিন্ন সড়কে হাঁটু পানি 

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের কারণে বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা। এতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে হাঁটু সমান পানি জমেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এইসব এলাকার বাসিন্দারা।

শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্রে বটতলা থেকে চৌমাথা সড়ক, বগুড়া রোডের একাংশ, রাজাবাহাদুর সড়কসহ অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

এছাড়া নগরীর চৌমাথা সিএন্ডবি রোড সংলগ্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিএম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে।

সিএনজি চালক শামিম বলেন, পানির কারেণে ব্যাটারি ও ইঞ্জিন চালিত যানবাহন চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পানি লেগে গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে। মোটরে পানি ঢুকে সমস্যা হওয়ায় তা সারাতে পকেট থেকে টাকা গুনতে হয়েছে। তাছাড়া পানির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষজনও কম, তাই আয়ও কমেছে। 

বরিশাল নগরীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা কালু জানান, যতই খাল খনন আর ড্রেন পরিস্কার করুক বটতলা থেকে চৌমাথা সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। তাই বাসা থেকে বের হয়ে বাজারসহ সকল কাজই হাঁটুসমান পানির মধ্যে করতে হচ্ছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকাল ৯ টা নাগাদ ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজও দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশাল নদী বন্দরে এখনো ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি রয়েছে। ফলে সকল ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদীর বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন বিভাগ) শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা। 

তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।