লোকসান কাটিয়ে ওঠার আশা

কলাপাড়ায় কাঙ্খিত ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছে জেলেরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপকূলীয় বৃহৎ ইলিশের মোকাম মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুরে কিছুটা প্রাণ ফিরেছে। ট্রলারগুলো কাঙ্খিত ইলিশ নিয়ে ছুটে আসছে ঘাটে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই সাগরে মাছ শিকার শেষে অধিকাংশ ট্রলারের জেলেরা আড়তগুলোতে কমবেশি ইলিশ নিয়ে ফিরছে। ফলে আড়তগুলোয় কর্মমুখর পরিবেশ ফিরে এসেছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহিপুর-আলীপুরের ইলিশের মোকামে বেচাকেনার হাকডাক চলছে। যদিও ইলিশের পরিমাণ তুলনামূলক কম, মাছের সাইজও কিছুটা ছোট। ইতোমধ্যে ছোট-বড়-মাঝারি সাইজের শতকরা ৬০-৭০ শতাংশ ট্রলারের জেলেরা কমবেশি ইলিশ নিয়ে ফিরতে শুরু করেছে।

মৌসুমের দীর্ঘ সময় পরে কমবেশি ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে, ট্রলার মালিক ও আড়ত মালিকরা কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন। লোকসানের ধকল কাটানোর আশায় অপেক্ষার প্রহর কাটাচ্ছেন তারা। 

সাইজ ভেদে ৪/৫ গ্রাম থেকে শুরু করে ৭০০-৮০০ গ্রাম এবং এক কেজি পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪/২৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা মণ দরে। তবে প্রতি মণে ২/৩ কেজি করে বেশি ইলিশ হাতিয়ে নেওয়ায় জেলেরা ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তারা মিটার পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিতের দাবি করেছেন। 

এফবি মা জননী ট্রলারের জেলেরা জানান, তারা সকালে ৫৭ মণ ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন। ২২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। 

ছোট্ট, নম্বরবিহীন ট্রলারের মাঝি রুহুল আমিন জানালেন, তিনি ২৫ মণ ইলিশ বিক্রি করেছেন ২৪ হাজার টাকা মণ দরে। তাদের আহরিত ইলিশের সাইজ ছোট। ৪/৫ টায় এক কেজি হয়েছে, তাই দাম কম। 

আল্লাহর দান বোটের ইউনুচ মাঝি জানালেন, তিনি প্রায় এক হাজার ইলিশ পেয়েছেন। সাইজ ভালো। তার তথ্যমতে ৭০০-৯৫০ গ্রাম সাইজের ইলিশ পেয়েছেন। ৮৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ ৩ হাজার টাকা মণ দরে মোট ১৩ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। এভাবে কমবেশি ইলিশ পাওয়ায় জেলেরা কিছুটা হলেও লোকসান কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করলেন। সকলেরই এক কথা ছিল। অবশেষে ইলিশের দেখা মিলছে। এটি তাদের কাছে অনেকটা স্বস্তিদায়ক খবর।

মহিপুর আড়ত মালিক ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, ইলিশের কমবেশি আমদানি হওয়ায় আড়তগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ৬০-৭০ ভাগ ট্রলারের জেলেরা কমবেশি ইলিশ পেয়েছেন। এখন থেকে ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন তিনি।