কুয়াকাটায় নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নেমে ঢেউয়ের তোড়ে নিখোঁজের প্রায় ৩ ঘন্টা পর তরুণ পর্যটকের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় সামাদ। খবর পেয়ে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালান। পরে সৈকতে নামা এক পর্যটকের পায়ে মরদেহটি স্পর্শ করলে ডুবুরি দলকে জানানোর পর তারা মরদেহ উদ্ধার করেন।

জানা গেছে, মৃত মিয়া সামাদ সিদ্দিকী খুলনার খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আলীউল ইসলামের ছেলে। সে খুলনা থেকে আসা ৭ জনের পর্যটক দলের একজন। দলটি সোমবার (৪ আগস্ট) কুয়াকাটায় এসে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। আজ সকালে তাদের মধ্যে ৫ জন সৈকতে নামলে সাঁতার না জানা সামাদ ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে তলিয়ে যায়।

তার সঙ্গীরা ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে তীরে উঠলেও সামাদ ফিরতে পারেনি। অবশেষে সোয়া ৩ ঘন্টা পর দুপুর ২টার দিকে সামাদের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। তবে এ সময় সমুদ্র শান্ত ছিল। শান্ত সাগরে এমন দুর্ঘটনায় অবাক হয়েছেন অনেকেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ছেলেটি পানিতে হাত উঁচিয়ে সাহায্য চাইছিল। আমরা দৌড়ে এগোনোর আগেই সে তলিয়ে যায়। তবে এত দ্রুত মরদেহ পাওয়া যাবে আমরা ভাবিনি।

নিখোঁজ সামাদের সঙ্গী সেলিম রেজা বলেন, আমরা একসঙ্গে ঘুরতে এসে এভাবে একজনকে হারিয়ে ফেলবো ভাবিনি। জীবিত বন্ধুকে নিয়ে তারা কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছেন। এখন তার মরদেহ নিয়ে ফিরতে হবে, যা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সামাদের পরিবারকে কী বলবো এখন!

পুলিশ জানিয়েছে, মিয়া সামাদ সিদ্দিকীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর শুনে তারা খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।  

কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ -পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।