পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গভীর রাতে নিখিল কর্মকার (৫০) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমারিবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ৭/৮ জনের ডাকাতদল ওই ঘরের সব সদস্যকে মারধর করে ২৫ ভরি স্বর্ণ ও ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আহতরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে বারবার ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী নিখিল কর্মকার বলেন, ডাকাতদল জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে মারধর শুরু করে। পরে তিনি অজ্ঞান হয়ে পরলে তার হাত-পা মশারি দিয়ে বেঁধে সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। তার স্ত্রী ও ২ সন্তানকেও মারধর করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিখিল কর্মকার হাজীপুর বাজারে স্বর্ণের ব্যবসা করেন। ঘটনার রাতে খাবার শেষে স্ত্রী শিলা রানি (৩৯), মেয়ে নিঝুম ও ছেলে নীরব কর্মকার (১১) ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের আধারে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ডাকাত ঘরের দক্ষিণ পাশের গ্রীল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের এক রুমে আটকে রেখে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে।
পরে ডাকাতরা আলমীরার তালা ভেঙ্গে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ প্রায় ৪৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে নিখিল কর্মকার দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর ডাকাতরা বাড়ির মূল দরজা খুলে দক্ষিণ দিকে দ্রুত পালিয়ে যায়। ডাকাতদের মধ্যে কেউ শর্টপ্যান্ট, কেউ ট্রাউজার এবং সবার গায়ে কালোসহ বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট ছিল। তারা স্থানীয় ও বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছিল। ডাকাতি শেষে নিখিল কর্মকার ও তার স্ত্রী শিলা রানি, মেয়ে নিঝুমকে মারধর করে।
তারা আরো জানান, জমিজমা নিয়ে নিখিল কর্মকারের সঙ্গে একই এলাকার সঞ্জীব ও দুর্জয় (২০) হালদারের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি নিখিলকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে জানান তারা।
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে না অন্য কোন ঘটনা, এখনই বলা যাবে না। নিখিল কর্মকারের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্জয় হালদারকে (২০) আটক করা হয়েছে।