পটুয়াখালীর বাউফলে কাছিপাড়া ইউনিয়নের দেওপাশা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আ. মালেক আকনের বৈধভাবে ক্রয়কৃত জমি জবরদখল, ওয়াকফকৃত মসজিদের জায়গায় ভাঙচুর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা ও আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
ভুক্তভোগী মো. আ. মালেক আকন জানান, মৌজা দেওপাশা, জেএল নং-৩, এসএ খতিয়ান নং-৩৬, দাগ নং-৭৭ এ তার ১.৭৭ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ জমি ২০১৬ সালে বাইতুল মামুর জামে মসজিদের নামে ওয়াকফ করেন। অবশিষ্ট জমিতে তার মাছের ঘের ও গাছপালা রয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় রিপন শিকদার দীর্ঘদিন ধরে এ জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এ নিয়ে তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমপি মামলা নং–৫৩/২০২৩ দায়ের করেন। তদন্ত ও রায়ে আদালত তার পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীতে দায়রা জজ আদালতেও (রিভিশন মামলা নং-২২১/২০২৩) গত বছরের ১৭ জানুয়ারি তার পক্ষে রায় দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, রিপন শিকদার ও তার সহযোগীরা ওয়াকফকৃত মসজিদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করে এবং গত ২০ আগস্ট রাতে, তা আংশিক ভেঙে ফেলে। এরপর রিপনের বাবা হাফেজ শিকদার দ্রুত বিচার আদালতে মামলা (নং-১২৩/২৫) করে তাকে ১নং আসামি করেন।
সর্বশেষ গত ২৬ সেপ্টেম্বর সুজন আলম, সুজনের স্ত্রী হাসি আলমসহ ১২০-১৩০ জন বহিরাগত লোক ওই জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে আসে।
এ সময় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে ভাড়াটে লোকজন মহড়া দেয় এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন মালেক আকন।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও দখলকৃত জমিতে কাজ করছে। বিভিন্ন সময় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আ, মালেক আকন অবিলম্বে আদালতের রায় কার্যকর, ওয়াকফকৃত মসজিদের জমি উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।