ভ্যাট কর্মকর্তার অশোভন আচরণ, অপসারণ দাবি হোটেল মালিকদের

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ.কে.এম. জামিউল আলমের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদ হাসান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ.কে.এম. জামিউল আলম কুয়াকাটার হোটেল সৈকতে গিয়ে ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এ সময় হোটেল মালিক উপস্থিত না থাকায় ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে ওই কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতির সম্পর্কে অশালীন ও অশ্রাব্য মন্তব্য করেন।

সংগঠনটির দাবি, ঘটনার ভিডিও তাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। বক্তারা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ প্রশাসনিক মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছে। কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় এ ধরনের অসৌজন্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ সময় হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ.কে.এম. জামিউল আলমকে পটুয়াখালী থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

তারা আরও বলেন, এই দাবি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় সব ব্যবসায়ী সংগঠনকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ.কে.এম. জামিউল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত ভ্যাট জরিপে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম। কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি বরং হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। তবে ঘটনাস্থলে রাজস্ব কর্মকর্তার উপস্থিতির বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।