ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের গাছিরখাল লঞ্চঘাটে বদলে গেছে বহু বছরের চিত্র। নদীর বুকে দুলছে নতুন পল্টুন, মুখে হাসি স্থানীয় মানুষের।
দীর্ঘদিনের দাবি ও অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভোলা-৪ (চরফ্যাশন–মনপুরা) আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, বহু বছর ধরে গাছিরখাল এলাকার মানুষ ভোগান্তির মধ্যে ছিলেন। বর্ষায় ঘাট তলিয়ে যেত, আর শুষ্ক মৌসুমে লঞ্চ ভেড়ানো ছিল দুঃসাধ্য। প্রতিদিন যাতায়াতে কষ্ট পোহাতে হতো যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টি কিংবা জোয়ারের সময় ঘাটে ওঠা-নামা করতে গিয়ে একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো সাড়া পাননি এলাকাবাসী। এমন অবস্থায় এগিয়ে আসেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।
স্থানীয়দের দুর্ভোগের কথা জেনে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর সঙ্গে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেন গাছিরখাল লঞ্চঘাটে নতুন একটি পল্টুন স্থাপনের জন্য। দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদন মেলে এবং গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন পল্টুনটি গাছিরখাল ঘাটে পৌঁছায়।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে গণসংযোগ শেষে অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া নিজে উপস্থিত থেকে পল্টুনটির নির্মাণ ও স্থাপন কাজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, গণমানুষের সেবাই আমার রাজনীতি। এই এলাকার মানুষ বহু বছর ধরে যে কষ্ট ভোগ করেছেন, তা লাঘব করতে পেরে আমি আনন্দিত। ভবিষ্যতেও নুরাবাদসহ পুরো চরফ্যাশন ও মনপুরার উন্নয়নে কাজ করে যাব।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহে আলম সিস্তি বলেন, আমরা বহুদিন ধরে একটি পল্টুন চেয়ে আসছিলাম। এখন সেই স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে। এটি শুধু একটি কাঠামো নয়, এটি আমাদের আশার প্রতীক।
আরেক বাসিন্দা বাবুল বলেন, আগে ঢাকার লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে পারত না। নতুন পল্টুন স্থাপনের ফলে এখন সহজেই লঞ্চ ভিড়তে পারবে, যাত্রীরাও নিরাপদে ওঠা-নামা করতে পারবেন। এটা আমাদের এলাকার জন্য বড় পরিবর্তন।
এলাকাবাসী একযোগে অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষায়, এই পল্টুন শুধু একটি নির্মাণ প্রকল্প নয়—এটি বহু বছরের স্বপ্ন পূরণ ও সিদ্দিক উল্যাহ মিয়ার প্রতি মানুষের আস্থার প্রতিফলন।
নতুন পল্টুন স্থাপনের ফলে গাছিরখালসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ সহজে নৌপথে চলাচল করতে পারবেন। এতে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন ও সামাজিক যোগাযোগে নতুন গতি আসবে- বদলে যাবে গোটা অঞ্চলের চিত্র।