বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪০ জনের বেশি এবং মারা গেছেন ৩ জন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, জ্বরের পর চিকিৎসা নিতে দেরি করাতেই জটিলতা বাড়ছে।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, গত বছর বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৭৭৩। এবার সেই তুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন দ্বিগুণের বেশি মানুষ।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি থাকছেন। হাসপাতালটিতে নভেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় দুই হাজার।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, অক্টোবর মাসে আক্রান্ত ছিলেন ৩ হাজার ৮৭ জন। নভেম্বরের ১০ দিনেই আক্রান্ত ১ হাজার ২৪০ জনের বেশি। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মশিউল মুনীর জানান, ডেঙ্গু রোগীদের সেবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। তবে হাসপাতালে সেবার পাশাপাশি জনসচেতনতাও জরুরি।
বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডা. মোহাম্মদ লোকমান হাকিম বলছেন, ডেঙ্গুর বিস্তার ঠেকাতে মশা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগের পাশাপাশি হাসপাতালে স্যালাইন ও অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ বাড়ানো দরকার।
বরিশাল বিভাগের বরগুনা ও পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি। জটিলতা ও প্রাণহানি এড়াতে লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।