ভিজিডির চাল নিতে অতিরিক্ত চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ, উত্তাল শম্ভূপুর

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নে ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির চাল উত্তোলনে ৪৫০ টাকা করে অতিরিক্ত চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মেজবা উদ্দিন সম্রাটের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।

এ সময় তারা স্লোগান দেন, “শম্ভূপুরে চাঁদাবাজি চলবে না, চলবে না।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সচিব মেজবা উদ্দিন সম্রাট প্রায় ২০ বছর ধরে একই ইউনিয়নে থেকে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা দিতে গিয়ে নিয়মিত অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আসছেন। 

তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলু দেওয়ানের সহযোগিতা ব্যবহার করে তিনি বহু বছর মানুষের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা নিতেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরও এই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি।

জানা যায়, সচিবকে একাধিকবার বদলি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি প্রতিবার শম্ভূপুরে ফের ফিরে আসেন এবং রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে অব্যাহতভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের কাছ থেকে সরাসরি টাকা সংগ্রহ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার জামাল চৌকিদার।

তিনি বলেন, সচিবের নির্দেশে আমি টাকা নিই। এখানে আমার কোনো দোষ নেই।

অন্যদিকে সচিব মেজবা উদ্দিন সম্রাট দাবি করেন, মালামাল দেখাশোনা করেন চৌকিদাররা—তাদের অতিরিক্ত খরচ হয়। তাই উপকারভোগীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিতে হয়। কিন্তু উপস্থিত স্থানীয়রা এই বক্তব্যকে মিথ্যা ও অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেন। 

তারা বলেন, চৌকিদাররা সরকারি জনবল—তাদের বেতন সরকার দেয়। সরকারি মালামাল দিতে গিয়ে জনগণের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপকারভোগী বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতার প্রভাব এবং বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের নেতাদের ছত্রছায়ায় সচিব সম্রাট লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে স্বচ্ছ তদন্ত, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা এবং উপকারভোগীদের হয়রানি বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছে।