ভোলা চরফ্যাশনে উপজেলা

আত্মগোপনে জনপ্রতিনিধিরা, ভোগান্তিতে সেবা প্রার্থীরা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন  চরফ্যাশনে উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন ও পৌরসভার চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউপি সদস্য, নারী ইউপি সদস্য, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলররা। জনপ্রতিনিধিরা অফিসে না আসায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তারা কোথায় আছেন কেউ বলতে পারছেন না।

একাধিক ইউপি সচিব জানান, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা। এদিকে চেয়ারম্যান-মেম্বারের অনুপস্থিতির অজুহাতে সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা তাদের মনমতো পরিষদ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। একারণে সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সরকারি সেবা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন।

সেবা প্রতাশিরা জানান, যারা নানান অপকর্মের সাথে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন, মানুষকে শাসকের রূপে শোষণ করেছে তারাই আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় সরেজমিনে উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে একই চিত্র চোখে পড়েছে। তবে কিছু ইউনিয়ন পরিষদে দায়িকত্বরত অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যান- মেম্বারের স্বাক্ষরের জন্য সেবা নিতে আসা লোকজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। 

জানাগেছে, উপজেলার আহাম্মদপুর ও ওমরপুরসহ ৪/৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা আত্মগোপনে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বাক্ষর করে জনসাধারণকে সেবা দিলেও, এদিন দুপুরের পর আবু বকরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদারকে জনতা আটক করে জুতার মালা পরিয়ে রাস্তায় ঘুরানোর পর থেকে মান ইজ্জতের ভয়ে অন্যরাও আত্মগোপনে চলে গেছেন। 

ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে আসা বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, পরিষদে এসে অপেক্ষা করছেন কিন্তু চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আসছেন না। এতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যান, মেম্বারদের অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।