তীব্র গরমে লোডশেডিং, অতিষ্ঠ নোয়াখালীর জনজীবন

ঘণ্টায় একাধিকবার লোডশেডিং, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জনজীবন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীবাসী।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা। অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে নষ্ট হচ্ছে বিদ্যুৎচালিত জিনিসপত্র।

এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং অনেকটা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে লোডশেডিং সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা বিদ্যুৎ বিভাগের।

জানা গেছে, জেলার পৌর এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সে হিসাবে জেলায় পিডিবির গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার, যার জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩৪ মেগাওয়াট। দিনে-রাতে মিলে প্রায় ১২ ঘণ্টার বেশি হচ্ছে লোডশেডিং। প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পর হচ্ছে লোডশেডিং। একই অবস্থা পল্লী বিদ্যুতের শহরমুখী এলাকাগুলোতে লোডশেডিং কিছুটা কম হলেও ভয়াবহ অবস্থা প্রত্যন্ত অঞ্চলের। যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পান না গ্রাহকরা।

জেলা শহর মাইজদীর বাসিন্দা আবদুল হালিম মিলন বলেন, শনিবার সকাল থেকে রোববার এখনও অব্যাহত লোডশেডিং চলছে। সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাতে তেমনটা বিদ্যুৎ পায়নি। সকাল থেকে কয়েকবার বিদ্যুৎ গেছে আসছে। এতো অসহ্য গরম আর লোডশেডিং মিলে অতিষ্ঠ জনজীবন। 

নোয়াখালীর কৃষ্ণরামপুরের বাসিন্দা আহসান উল্যা হেলাল, নুর মোহাম্মদ সুজন বলেন,  লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা, যা বলে বুঝানো যাবে না। গত ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ গেল অন্তত ১৫ বার।

বেগমগঞ্জের রাজগজ্ঞ ইউনিয়নের বাসিন্দা ফারুক বলেন, গত শুক্রবার রাত থেকে লোডশেডিং এত বেশি যা বলে বুঝানো যাবে না। আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।

নোয়াখালী পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুল বাহার বলেন, আমাদের ৭৮ হাজার গ্রাহকের জন্য পাচ্ছি মাত্র ১৭ দশমিক ৫ মেগাওয়াট। যেখানে আমাদের চাহিদা রয়েছে ৩৪ মেগাওয়াট। তার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে হাসপাতাল। সেগুলো কাভার করে যা পারছি তা শিডিউল অনুযায়ী কাভার করছি। মূলত চাহিদার চেয়ে কম হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।