গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ২১টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ড্রাম ধরে ভেসে ছিলেন সাগরে। এতে এখনো ৭ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী লুৎফুল্লাহিল নিশান।
তিনি বলেন, হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ, আমতলী ঘাট, মোক্তারিয়া স্লুইস, বুড়িরদোনা, সূর্যমুখী ঘাটের মোট ২১টি ট্রলার ডুবে গেছে। এখনও বৈরী আবহাওয়া তাই একটি ট্রলারও উদ্ধার করা যায়নি। জেলেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ড্রাম ধরে ভেসে ছিলেন সাগরে। বর্তমানে জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী ঘাটের ৬ জন জেলে ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ১ জন জেলে নিখোঁজ আছেন।
লুৎফুল্লাহিল নিশান আরও বলেন, সাগরে ইলিশ আহরণ করে জেলেরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। অথচ জেলেদের জীবনমানের কোনো উন্নতি নেই। তারা নদীতে জীবিকা নির্বাহ করে এবং নদীতেই মিশে যায়। তাদের কান্না সাগরের ঢেউয়ে মিলে যায়। কেউ শুনতে পায় না। সরকারি সহায়তা নাই বললেই চলে। মরে গেলে যদি মরদেহ পাওয়া যায় তাহলে ৫০ হাজার টাকা দেয় আর মরদেহ না পাওয়া গেলে এক পয়সাও পায় না। সরকার যদি জিপিএসসহ উন্নত প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে পারতো তাহলে এমন টা হতো না।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় আমরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হচ্ছে।