কক্সবাজারের মহেশখালীর পানের মতো টেকনাফ ও উখিয়ার সুপারি মানের দিক দিয়ে অত্যন্ত ভালো ও সুস্বাদু। সে হিসেবে কক্সবাজারের সুপারির কদর রয়েছে সারা দেশে। বিদেশেও কক্সবাজারের মিষ্টি সুপারি রপ্তানি হয়। এ বছর উৎপাদিত সুপারির আনুমানিক মূল্য ২৭০ কোটি টাকা।
কৃষি অধিদপ্তর বলছে, জেলার ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার গাছে ১২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি টন সুপারি বিক্রি হয় ২ লাখ টাকায়। এ বছর উৎপাদিত সুপারির আনুমানিক মূল্য ২৭০ কোটি টাকা। উখিয়া আর টেকনাফে এখন চলছে সুপারি সংগ্রহের মৌসুম। এখানকার কৃষি-অকৃষি পরিবারগুলো সহজে সুপারির চাষ করে প্রচুর টাকা আয় করছে। একটি গাছ একবার রোপণ করলে ২৫-৩০ বছর একটানা প্রতি মৌসুমে ফলন পাওয়া যায়। একেকটি গাছে কমপক্ষে চার-পাঁচ পন সুপারি ধরে। উর্বর জমি হলে আরও বেশি ফলন পাওয়া যায়। বর্তমানে এক পন সুপারি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে সুপারি কেনাবেচা হয় পন হিসেবে। এক পনে ৮০টি সুপারি এবং ১৮ পনে অর্থাৎ ১ হাজার ২৮০টি সুপারিতে এক কর্ন। জেলার সুপারির সবচেয়ে বড় পাইকারি হাট টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর বাজার ও উখিয়ার সোনারপাড়া বাজার। প্রতি হাটের দিন গড়ে ৪০-৫০ টন সুপারি দেশের বিভিন্ন আড়তে যায়। টেকনাফ থানার সামনে এবং হোটেল দ্বীপ প্লাজার সামনে রোববার ও বৃহস্পতিবার বসে সুপারির বাজার।
এক সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, মৌসুমে জেলায় শতাধিক হাটবাজার ও বিভিন্ন স্থানে সুপারি কেনাবেচা হয়। কক্সবাজার পান-সুপারি বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক জানান, প্রতিদিন কক্সবাজারের বিভিন্ন বাজার থেকে ট্রাকে ট্রাকে সুপারি যায় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। দেশের বাইরে ইংল্যান্ড, কানাডা, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।’
ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, এখান থেকে নিয়ে যাওয়া সুপারি ঢাকায় মজুত করা হয়। এরপর মজুত করা সুপারি ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, গতবছরের চেয়ে এবার সুপারির ফলন বেশি হয়েছে। যার কারণে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে।