অপরাধী গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে

কক্সবাজারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান

কক্সবাজারে অপরাধী ও অস্ত্রবাজ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। জেলা পুলিশের এই বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হচ্ছে একের পর এক অপরাধী ও অস্ত্রধারী চক্রের সদস্যরা। পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে উদ্ধার হচ্ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজসহ দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র। গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ জনের অধিক অপরাধীদের আটক করেছে জেলা পুলিশ।

সোমবার ও মঙ্গলবার (২ ও ৩ ডিসেম্বর) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও বিদেশি চাকুসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল শহরে টহলে বের হয়। এসময় খুরুশকুলের ছনখোলা বাজার রোড- সাম্পানঘাটস্থ জাহাঙ্গির কাশেমের মাছের প্রজেক্টের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এ সময় উক্ত সিএনজি তল্লাশি করলে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিএনজিতে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। 

এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লিংক রোড মুহুরি পাড়ার বজল কবিরের ছেলে সিএনজি চালক আব্দুর রহিম ইলিয়াস (৩৮) ও একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (৫৪)। অভিযানকারী দলের সদস্যরা জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা উপকূল দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে শহরের বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করছিল। 

এদিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিদেশি ও দেশীয় তৈরি ৫টি চাকুসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ধারালো টিপ ছুরি, ৪টি ধারালো ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি ব্যাটারি চালিত টমটম অটোরিক্সা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে সদর থানা পুলিশ এই অভিযান চালায়। এসময় আটককৃত পাঁচ ছিনতাইকারীরা হল, সমিতি পাড়ার আলী হোসেন এর ছেলে মো. সাহেদ হোসেন (১৮) একই এলাকার নুর নবীর ছেলে মো. রহিম (১৯), মোক্তার আহমদ এর ছেলে মো. রাকিব (১৯), চকরিয়া ঢেমুশিয়ার নুর নবীর ছেলে শহিদ হোসাইন (২৫) ও মহেশখালীর কুতুবজোম চরপাড়ার নবাব সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম(১৬)।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, পুরো জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। যেন কোনো সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী কিংবা অস্ত্রবাজ অপরাধ করে রেহাই না পায়। আশা করছি, সামনের দিনে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতিসহ অপরাধ দমনে পুলিশ আরো কঠোর ভূমিকা পালন করবে।