‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণার পর নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ নিয়ে গত ছয় দিনে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
গ্রেপ্তারকৃতরা যথাক্রমে- সুধারাম থানা আ. লীগের সক্রিয় সদস্য মো. জাকের হোসেন (৫২), ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য আব্দুর রহিম (২৪), হাতিয়া থানার আ. লীগের সক্রিয় সদস্য মো. সোহেল (৩৫), হাতিয়া পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নিরব উদ্দিন কবির (২৫), বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ (৫৪), কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন নয়ন (৩৮), সেনবাগ উপজেলার যুবলীগের সক্রিয় সদস্য ইমাম হোসেন (৪৫), অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম সবুজ (৪৫) ও চাটখিল থানার পাঁচগাও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আশরাফুল আলম রতন (৪২)।
জানা গেছে, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছে যৌথবাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুধারাম থানা থেকে দুইজন, হাতিয়া থানা থেকে দুইজন, চাটখিল থানা থেকে একজন, বেগমগঞ্জ থানা থেকে একজন, কবিরহাট থানা থেকে একজন ও সেনবাগ থানা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এসব অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশ একযোগে কাজ করছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এটি একটি বিশেষ অভিযান। যা অপরাধ দমন ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশের মতো নোয়াখালীতেও চলছে। যাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।