মাছের চিপস ও শুটকির গুড়ো তৈরি করে আলোচনায় নাজমা

সামুদ্রিক মাছ দিয়ে সুস্বাদু চিপস বানিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কক্সবাজারের পালংকি কন্যা। মূলত পালংকি কন্যা একটি প্রতিষ্ঠানের নাম এর পেছনে রয়েছেন একজন মেধাবী স্বপ্নবাজ তরুনী নাজমা আক্তার রেশমি। 

নাজমা ২০১৯ সাল থেকে চেষ্টা শুরু কীভাবে স্থানীয় সম্পদকে কাজে লাগিয়ে তা আরো বেশি জনপ্রিয় করা যায় সাথে বাণিজ্যিক ভাবেও লাভবান হওয়া যায়। সেই উদ্দেশ্যে গড়ে তোলেন পালংকি কন্যা নামের একটি ছোট প্রতিষ্ঠান। 

কক্সবাজারে যখন নারী উদ্যোক্তাদের উত্থান হচ্ছে তখন নাজমারও উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা জাগে। শুরু থেকেই ভিন্ন ধর্মী ও অন্যান্যদের থেকে আলাদা কিছু নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তার। প্রথম শুরু করে নিজের বাড়ির গাছের ডুমুর ফলের আচার দিয়ে। বেশ সাড়া জাগায় এই ব্যতিক্রমী আচার। 

চাহিদা অনুযায়ী ডুমুর ফল সংগ্রহ করতে না পারায় মনোযোগ দেন শুঁটকি মাছ নিয়ে কাজ করার। কিন্তু প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না ভেবে আবার নতুন ও আলাদা কিছু করার পিছনে ছুটেন এই নারী উদ্যোক্তা। এরপর বাংলাদেশে প্রথম তিনি তৈরি করেন শুঁটকি মাছের পাউডার।

শুটকির গুনগত মান স্বাদ ঠিক রেখে ভিন্নভাবে শুটকিকে তুলে ধরেন তিনি। শুটকি গুঁড়ার ব্যাপক চাহিদার কারণে তিনি আরো বেশি আগ্রহী হন সামুদ্রিক মাছ দিয়েই আরো ভিন্ন কি কি করা যায় যা দিয়ে মানুষের পুষ্টি ও স্বাদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বানিজ্যিক ভাবেও লাভবান হওয়া যাবে। 

সর্বশেষ তিনি তৈরি করেন মাছের চিপস। এই চিপস পুষ্টি গুনে যেমন সমৃদ্ধ তেমনি স্বাদেও অতুলনীয়। মুখরোচক খাবারের মধ্যে এই চিপস অন্যতম বলা চলে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য যথাযথ একটি খাবার। সামুদ্রিক মাছ দিয়ে বাংলাদেশে তিনিই প্রথম চিপস তৈরি করেন। 

এছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের জনপ্রিয় খাবার বালাচাও তৈরি করেন তিনি যা একেবারে স্বাস্থ্যসম্মত। মাছের চিপস তৈরি, শুঁটকি মাছের পাউডার তৈরিসহ সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। 

তবে সরকার বা উন্নয়ন সংস্থা থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেলে মাছের চিপসটি আরো উন্নতভাবে তৈরি করে কক্সবাজার সহ দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বলে জানান এই উদ্যোক্তা।