গত কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর সদরের নানুপুর চৌরাস্তা থেকে হরিণা ফেরিঘাট এলাকার চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক বেহাল অবস্থায়। মাঝে ছোটখাট সংস্কার কাজ হলেও বর্তমানে সড়কটি চলাচলে অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। গত এপ্রিল মাসে এই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করে সড়ক বিভাগ চাঁদপুর। কিন্তু কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ কোন রকম জোড়া তালি দিয়ে সড়কটির একাংশ সংস্কার হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দোকানঘর থেকে হরিণা ফেরিঘাট চৌরাস্তা পর্যন্ত হাইমচর উপজেলার বাসিন্দাদের জেলা সদরে আসার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। অন্য সড়ক দিয়ে আসার ব্যবস্থা থাকলেও সময় ও অর্থ কম ব্যয় হয় এই সড়কে। গত এপ্রিল মাসে এই সড়কের দোকানঘর থেকে বহরিয়া বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে এক কিলোমিটার কাজের কোনরকম কার্পেটিং হয়েছে। কিন্তু সড়কটির উঁচু-নিচু (ওয়েব) অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
বহরিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, সড়ক বিভাগ কাজ শুরু করার সময়ই সুবিধার মনে হয়নি। আমাদের কথার কেউ পাত্তা দেয় না। সড়কের গর্তগুলো আগের মতই রয়েছে।
অসুবিধার কথা তুলে ধরে এ সড়কে চলাচলকারী বেশ কয়েকজন চালক বলেন, এই সড়কে যানবাহন চালাতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। সড়কটি সমান করে নির্মাণ না করলে এই দুর্ভোগ কমবে না। এমন পরিস্থিতিতে সড়কের সংস্কার করে কোন লাভ হবে না। সরকারের টাকা অপচয় হবে।
এ বিষয়ে সড়ক বিভাগ চাঁদপুরের (সড়ক শাখা-২) এর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আপাতত আমরা সড়কটির সংস্কার কাজ করছি। দোকানঘর থেকে বহরিয়া বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। বরাদ্দ অনুসারে এখন কাজ হচ্ছে। মতলবের জাকির নামে ঠিকাদার এই নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
জোড়া তালি দিয়ে এবং উচু নীচু ঠিক না করে সংস্কার করা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নানুপুর থেকে হরিণা পর্যন্ত দশ কিলোমিটারের অধিক সড়কটি নির্মাণের জন্য ১৮ কোটি টাকার প্রকল্প দেয়া আছে। অনুমোদন হলে পুরো সড়কটি নির্মাণ হবে।