নাইক্ষংছড়ি-ঘুমধুম সড়কে ভাঙ্গন, দ্রুত সংস্কারের দাবি

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি-ঘুমধুম সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন। গত এক সপ্তাহ টানা ভারি বর্ষায় ধ্বসে যায় সড়কটি। 

ভাঙা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারের সময় আতঙ্কে থাকেন ওই সড়কে চলাচলকারীরা।

প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে মোটরবাইক, সিএনজি ও ছোট ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করলেও বর্ষায় মৌসুম এলে ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়কটি। তবে দুর্ঘটনা ঠেকাতে সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এ পর্যন্ত কেনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলাকারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  ওই সড়কের চলাচলকারীদের প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় শিকার হতে হয়।

জানা গেছে, অনেক আগে নাইক্ষংছড়ি-সোনাইছড়ি-ঘুমধুম সড়কটি বাস্তবায়ন করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বাস্তবায়ন পর নেই কোন পরিচর্যা কিংবা মেরামত।

স্থানীয় বাসিন্দার হায়দার আলী জানান, নাইক্ষংছড়ি-ঘুমধুম সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ভেঙ্গে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশ ধ্বসে পড়েছে। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি এলজিইডি কতৃপক্ষ। ফলে নাইক্ষংছড়ি-ঘুমধুম সড়কে যাতায়াত যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ট্রাকচালক মনির আহম্মদ বলেন, আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করি। কখন যে দুর্ঘটনা হয়, সেই আতঙ্কে থাকি। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যদি দ্রুত মেরামত করে, তাহলে ভালো হয়। মেরামত না হলে এই বর্ষাতিই পুরো রাস্তা ভেঙ্গে একেবারে দুশত ফিট নিচে চলে যাবে এবং গাড়ি চলাচল ও সড়ক বন্ধ হয়ে যাবে।

নাইক্ষংছড়ি (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়ে সড়কটি পরির্দশন করেছি এবং জেলা অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং দ্রুত মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়েছি। বরাদ্দ পেলে দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দেন তিনি।