ভালোবেসে বিয়ে, ভাড়া বাসায় স্ত্রীর মরদেহ রেখে স্বামী পলাতক

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর ভাড়া বাসা থেকে সাদিয়া ইসরাত মীম (২১) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। 
 
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  
এর আগে একই দিন বেলা ১১টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর উত্তর ফকিরপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সাদিয়া ইসরাত মীম জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পৌর এলাকার চরকৈলাশ গ্রামের মো. সাব্বির হোসেনের মেয়ে।

নিহতের বাবা সাব্বির হোসেন বলেন, গত ১১ এপ্রিল ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে মীম ও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতির চর মসনা এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ ভালোবেসে বিয়ে করে। নোয়াখালী কলেজে পড়ার সময় তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের পর থেকে তারা মাইজদী শহরের অধ্যাপক কাদেরের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল। 
আজ সকালে মীমের মরদেহ বিছানায় ফেলে রেখে স্বামী দ্বীন মোহাম্মদ মীমের খালাতো বোন জুঁই ও তার শাশুড়ি মুন্নিকে ফোন দিয়ে বলেন, মীম হয়তো বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। দ্রুত বাসায় আসেন, আমি গাড়ির জন্য বের হয়েছি। কিন্তু এরপর তিনি আর বাসায় ফেরেননি। জুঁই ঘটনাস্থলে এসে চিৎকার করলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
 
নিহতের খালাতো বোন শ্রেষ্ঠা বলেন, একই বাসায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভা নামে আরেক ছাত্রী সাবলেট থাকতো। ঘটনার পর থেকে তিনিও নেই। তিনি নাকি ঢাকা যাচ্ছেন। আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামী হত্যা করেছে।  

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।