সুয়াবিলকে নতুন উপজেলায় যুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার আংশিক অংশকে প্রস্তাবিত “ফটিকছড়ি উত্তর উপজেলাতে সংযোজনের উদ্যোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সুয়াবিল চুরখাঁহাট বাজারে বৃহত্তর সুয়াবিল অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম আয়োজিত এ মানববন্ধনে অংশ নেন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হাজারো সাধারণ মানুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জনগণের মতামত ছাড়াই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার অংশ বিশেষকে নতুন উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায্য ও জনস্বার্থবিরোধী।

সুয়াবিল থেকে বর্তমান উপজেলা সদর ফটিকছড়ির দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার, অথচ প্রস্তাবিত নতুন উপজেলা বাগানবাজারের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এতে জনগণের দুর্ভোগ বাড়বে এবং প্রশাসনিক সেবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ।

বক্তারা দাবি করেন, মাঠ পর্যায়ের কোনো জরিপ, গণশুনানি বা জনগণের মতামত ছাড়াই বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে এ প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে ভুল তথ্য দিয়ে সুয়াবিলবাসীর স্বার্থকে উপেক্ষা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তারা।

মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসোর্স সেন্টারের সমন্বয়ক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ আমরা স্বাগত জানাই। তবে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক গাজী আমান উল্লাহ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাজিরহাট কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস.এম. নুরুল হুদা, ডা. এস.এম. ফরিদ, মানবাধিকার সংগঠক এডভোকেট ইসমাইল গনি, শাহজাহান, জয়নাল আবেদীন, এম.এ. হায়াত ও এম.এন. আলমসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের ইচ্ছা ও স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনা করা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।