শাজাহান খানের বাড়ি-পেট্রলপাম্প পাহারা, যুবদল নেতাকে শোকজ

মাদারীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বাড়ি এবং তার ভাইদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যুবদল নেতা-কর্মীদের নিয়ে পাহারা দেওয়ার অভিযোগে  ফারুক হোসেন ব্যাপারীকে শোকজ করা হয়েছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই জবাব চাওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ফারুক হোসেন ব্যাপারী গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও নিয়মবহির্ভূত কাজ করেছেন। কেন তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী তিন দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সামনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে গত শনিবার মাদারীপুরে বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাজাহান খানের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, ফারুক হোসেন ব্যাপারীর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত কর্মী শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শাজাহান খানের ১০ তলা ভবন, আবাসিক হোটেল ও পেট্রলপাম্প পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। পাহারার সেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য কে এম তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ফারুক ব্যাপারী আওয়ামী লীগের ‘বি টিম’-এর সক্রিয় সদস্য। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি ফ্যাসিস্ট নেতার বাড়ি পাহারা দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফারুক হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘মাদারীপুরের পাঁচটি স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা ছিল। কোনো তৃতীয় পক্ষ যেন সুযোগ না নিতে পারে এবং নাশকতার আশঙ্কায় আমরা পুলিশ ও র‍্যাবের সঙ্গে রাজপথে ছিলাম। শাজাহান খানের বাড়ি পাহারা দিইনি। দলের গ্রুপিংয়ের কারণে কেন্দ্রে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।’

বর্তমানে শাজাহান খান ও তার ছেলে কারাগারে থাকলেও তার ভাইদের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রয়েছে, যা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে আগে থেকেই নানা গুঞ্জন চলছিল।