ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর কামরুল হাসান(২৩) নামের এক পুলিশ সদস্যের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
আজ শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে নিজ বাড়ির পাশেই ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কামরুল হাসান উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের কংসপট্রি গ্রামের মৃত রোস্তম আলীর ছেলে। মা আলেয়া বেগম এক গার্মেন্টস কর্মী।
নিহত পুলিশ সদস্য কামরুল হাসান এপিবিএন- ১ ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদস্যের স্ত্রী নারগিস আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত বছর আগে পারিবারিক ভাবেই কামরুল হাসান পাশের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামের লাবু মিয়ার মেয়ে নারগিস আক্তারের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই এদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। কিন্তু নারগিসের সাথে তার ফুপাত ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এলাকা বাসীর ধারনা। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরেই পুলিশ সদস্যকে কৌশলে হত্যা করে হাত- পা ভেঙ্গে বস্তায় ভরে বাড়ির পাশেই ডোবার মধ্যে ফেলে দেয় ঘাতকরা।
নিহত কামরুল হাসানের স্ত্রী আটক নারগিস আক্তারকে এলাকার লোকজন জিজ্ঞাসা করলে বলেন, মুখে মাস্ক পড়া দুইজন কামরুলকে খুন করেছে। এই কথা প্রকাশ করলে তারা আমার পরিবার ও শশুর বাড়ির বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার পুরোটা জানলেও নারগিস আক্তার তার শশুর বাড়ির কাউকে কিছু না বলে নিরব থাকেন। গতকাল শুক্রবার সকালেরদিকে নিহত পুলিশ সদস্য কামরুল হাসানের বস্তাবন্দী লাশ ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর থানা পুলিশকে জানান।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক ( এস আই) নাসির বলেন, নিহত পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সেইসাথে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী নারগিস আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
এব্যাপারে নিহতের মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে ধামরাই থানায় কয়েকজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।