ফরিদপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

নিহত দুই শিশু হলেন, ওই গ্রামের ছিদ্দিক মুন্সীর পুত্র ইসমাইল মুন্সি (৪) ও আসাদ মুন্সীর ছেলে ইয়াসিন মুন্সি (৩)। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওই দুই শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে ভাঙ্গা হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় ইসমাইল মুন্সি ও সোয়া ৯টায় ইয়াসমিন মুন্সির মৃত্যু হয়।

এবিষয় অগ্নিদগ্ধ শিশুদের চাচা উজ্জ্বল হোসেন জানান, ইয়াসিন ও ইসমাইল রবিবার বেলা ১১টার দিকে রান্না ঘরে শিশু ২টি খেলতে যায়। অভিভাবক না থাকায় তারা কিছু পাটের খড়ি রান্নার চুলার মধ্যে দিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাটখড়ির বেড়ায় লেগে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। তখন দুই শিশু ভয় পেয়ে রান্নাঘরের পাশে গোসলখানায় আশ্রয় নেয়। রান্না ঘর পুড়ে যাওয়ার পর গোসলখানায় আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে আগুনের লেলিহান শিখা রান্না ঘর ও গোসলখানা সহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও তখনো জানতো না শিশু দুটি বাথরুমে আটকা পড়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণ আসার পর শিশু দুটির আর্তচিৎকার শুনতে পায়। মুমূর্ষু অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুকে ভাঙ্গা হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে শিশু দুইটির মৃত্যু হয়।  

এ ব্যাপারে ওই গ্রামের বাসিন্দা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. ইদ্রিস আলী জানান, অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে অগ্নিদগ্ধ শিশু দুটিকে উদ্ধার করে প্রথম ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। 

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌলি চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ ইয়াসিনের ৬৮ ভাগ এবং ইসমাইলের ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।