গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রায় ৩০ টি দোকান।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মুকসুদপুর উপজেলার চৌরঙ্গী মোড়ে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শুরু হয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল জানান, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বেশ কিছুদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে মুকসুদপুর উপজেলার চৌরঙ্গী মোড়ে মেসবাহের এক সমর্থক ক্যালেন্ডার বিতরণ করতে গেলে তাকে মারধর করে সেলিমের কয়েক কর্মী-সমর্থকরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চৌরঙ্গীর মোড়ে অবস্থান নেয়। তাদের আসার খবর পেয়ে মেজবাহ এর সমর্থকগণ একই স্থানের দিকে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সহস্রাধিক লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময়ে উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কয়েক ঘন্টা চেষ্টা করে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ।
আহতদের গোপালগঞ্জ মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক-এ চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে অল্প আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে রিলিজ দেওয়া হয়েছে।