উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহের ২৩টি জেলার প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড। এখানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা মহাসড়ক পারাপার হতে হয়। এ কারণে প্রায় ঘটেছে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে যাতায়াতকারীরা।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ অফিস জানায়, বিগত ২০১৩ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের উত্তরপাশে দুই কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় একটি ফুট ওভারব্রিজ। যার উচ্চতা ৫ দশমকি ৩৫ মিটার, দৈর্ঘ্য ২৪ দশমিক ৫০ মিটার। পরবর্তীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হতে হচ্ছে যাতায়াতকারীদের। সন্ধ্যায় চলাচল করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। দ্রুত গতির যানবাহন এড়িয়ে বয়স্ক ও শিশুদের পারাপার হওয়া খুবই কষ্টকর। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অদূরে রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, একটি মহিলা ডিগ্রি কলেজ, দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি বেসরকারি ব্যাংক-বীমা শাখা, শত বছরের পুরনো হাট বাজারসহ অসংখ্য ব্যবসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া মধ্যবর্তী স্থান হওয়া এখানে বাসা-বাড়িও রয়েছে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মহাসড়ক ব্যবহার করছে।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের স্থানীয় ব্যবসায়ী হিরু মোল্লা ও আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সময় বাসস্ট্যান্ডে ফুট ওভার ব্রিজ ছিল। এলাকার মানুষ এবং দূরের যাতায়াতকারীরা ঝুঁকিহীন পারাপার হতেন। কিন্তু না থাকার ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে।
এলেঙ্গায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুশফিকুর রহমান বলেন, ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় মানুষ এলোপাথারী চলাচল করে। ফলে গাড়ির গতি কমাতে বাধ্য হয় চালকরা। এতে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এখানে দ্রুত একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ জরুরি।
এলেঙ্গা (মধুপুর) হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খান জানান, ফুটওভার ব্রিজে না থাকায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। গত মাসেও একজন নিহত হয়েছেন। এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ প্রয়োজন।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.সিনথিয়া আজমিরী খান জানান, বর্তমান বাস্তবতায় যত্রতত্র পারাপার এবং দুঘর্টনা রোধে এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজের দরকার আছে। কিন্তু দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রমের (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এখন এটার নির্মাণ দায়িত্ব তাদের।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার ছোট-বড় যানবাহন যমুনা সেতু পারাপার হয়ে থাকে।